কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলাসহ ১৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আরও ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামী দেখানো হয়েছে।
গত ১৩ নভেম্বর চকরিয়া থানায় একটি টমটম গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ এনে চকরিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের নিজপানখালীর বাসিন্দা সিরাজ আহমদের পুত্র ও টমটম গাড়ির চালক আমির আলী বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় পৌরশহর চিরিঙ্গা থেকে টমটম চালক আমির তার গাড়ি নিয়ে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ওইসময় তার গাড়িটি ফাঁসিয়াখালীর ৩নং ওয়ার্ডস্থ পালাকাটা রাস্তার মাথায় পৌছলে উল্লেখিত নামীয় আসামিরা গতিরোধ করে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতারা তার টমটম গাড়িটি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন। এতে তার ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে দাবী করা হয়।
এজাহারে আরও দাবী করেন, গত ১৩ নভেম্বর কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর, বিভিন্ন ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অন্তত ১৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জনকে আসামী দেখানো হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া।
এদিকে গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারত চলে যাওয়ার পর চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে একেরপর এক হত্যা, ডাকাতি, দখল, অগ্নিসংযোগ সহ নানা অভিযোগ এনে ১৯-২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় জনপ্রতিনিধসহ দলীয় নেতাকর্মী মিলে অন্তত ৪-৫ হাজার আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। প্রতিটি মামলার বাদি হয়েছেন উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীরা।